তোমাদের জন্য নির্মিত হয়েছে মীনা কার্টুনের আরও নতুন দু’টি পর্ব। এগুলো হচ্ছে ‘যাদুর পাথর’ (ম্যাজিক স্টোন) এবং ‘রূপকথার দেশে মীনা’ (মীনা ইন ফ্যান্টাসিল্যান্ড)।
শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালায় মঙ্গলবার সকালে পর্ব দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যারেল ডি রয়।
ক্যারল ডি রয় বলেন, ‘বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের ৯৭ শতাংশ শিশু ও কিশোর এবং গ্রামাঞ্চলের ৮১ শতাংশ শিশু ও কিশোর মীনা চরিত্রটিকে ব্রান্ড হিসেবে চিনতে পারে। এদের মধ্যে অধিক সংখ্যক শিশু-কিশোর কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বলতে পারে। ’
তিনি আশা করেন, মীনার এই নতুন পর্ব দুটো অনুরূপভাবে শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পরবে। তারা মূল বার্তাগুলো ভালোভাবে জানবে ও অনুশীলন করবে। কারণ মীনা হচ্ছে পরিবর্তনের অত্যন্ত সফল একটি এজেন্ট।
এখনো যারা মীনাকে চিনতে পারোনি তাদের জন্য বলছি, মীনা হলো ৯ বছরের একটি মেয়ের কার্টুন চরিত্র। যে একজন শিশুর ভাষায় গুরুতপূর্র্ণ সামাজিক বিষয় সম্পর্কে কথা বলে। যা শিশুরা নিজেদের বিষয় হিসেবে বুঝতে পারে এবং সে সমভাবে বড়দেরকেও উদ্বুদ্ধ করে। মীনা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় এখন মেয়ে এবং শিশুদের অধিকারের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে, এমন কি, মীনা এখন অনেক দেশে ভ্রমন করে। শিশু-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপত্তা, শিশুদের অধিকারসহ অনেক সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত বার্তা প্রচারের জন্যে মীনাকে ব্যবহার করা হয়।