দাদুর ছাতা
কাঁঠাল পাতায় দাদুর ছাতায়
রোদটা ঝিলিক মারে
রোদের চুমোয় শিশির ঘাসে
আর তো দাঁড়ায় না রে।
শিশির পালায় রোদের জ্বালায়
দাদুর ছাতার নিচে
ঝিরঝিরিয়ে বাতাস হাঁটে
দাদুর পিছে পিছে।
দাদুর ছাতার সঙ্গে রোদের
চলছে রোজই লড়াই
এই ছাতাটার জন্য দাদুর
অনেক অনেক বড়াই।
খোকার অভিমান
মাচান ভরা কুমড়ো নাচে
কাছে পেয়ে মাকে,
টুনটুনিটা সেই আবেশে
মধুর সুরে ডাকে।
মায়ের পরশ পেয়ে গাঁদা
হাসে উঠোন কোণে,
ফিঙ্গেপাখি লেজ দুলিয়ে
ঝিঙ্গেগুলো গোনে।
চাল বেয়ে ওই বেড়ে ওঠা
লকলকে পুঁইলতা
মাকে ছাড়া কারো সাথে
কয় না মোটে কথা।
এসব দেখে খোকনসোনার
মনটা তো নেই ভালো
ভাবছে বসে পুকুরপাড়ে
মুখটা করে কালো।
হঠাৎ যখন সামনে এসে
মা ঝরালো হাসি
সব অভিমান হয়ে গেলো
একশ’ দিনের বাসি।
মায়ের মুখ
হাপুস করে
রোদটা ধরে
ছড়িয়ে দিলো খাতায়
ঝিলমিলে রোদ
বসলো গিয়ে
প্রজাপতির মাথায়।
রোদের ঝিলিক
মাথায় নিয়ে
উড়লো প্রজাপতি
প্রজাপতি
প্রজাপতি
দুষ্টু চপলমতি।
দুষ্টু চপল
ছড়িয়ে দিলো
রোদটা ফুলে ফুলে
রোদ পেয়ে ফুল
ঘ্রাণ ছড়ালো
হাওয়ায় দুলে দুলে।
ফুলের ঘ্রাণে
থমকে দাঁড়ায়
ঘরপালানো খোকা,
কী সব আঁকিস?
মা এসে দেয়
তার মাথাতে টোকা।
মায়ের টোকায়
ভাবনা পালায়
তাকিয়ে দেখে আরে!
মুখটা মায়ের
আঁকলো কখন
খোকন বোঝে না রে।
খোঁজ
বিল খুঁজি ঝিল খুঁজি
আকাশের নীল খুঁজি
তারা ঝিলমিল খুঁজি
উড়ো গাঙ্চিল খুঁজি
খুঁজি মাঠ-ঘাট,
ইটঘেরা শহরের
বন্ধ কপাট।
পুকুরের জল খুঁজি
হাওয়া নির্মল খুঁজি
চাষিদের দল খুঁজি
হাসি উচ্ছ্বল খুঁজি
খুঁজি পাকা ধান,
আম্মু তা শুনলেই
দু’চোখ পাকান।
আকাশের ঘুড়ি খুঁজি
মা’র হাতে চুড়ি খুঁজি
চাঁদের ওই বুড়ি খুঁজি
পাথরের নুড়ি খুঁজি
খুঁজি গাঁদা ফুল,
আম্মুর কাছে শুধু
পড়াটাই মূল।
ছড়ার ফুল
মিঠে-কড়া
ছড়ার ঘড়া
নড়াচড়া
করছিলো
ছোট্ট খোকা
আস্ত বোকা
জোনাকপোকা
ধরছিলো।
ছড়াগুলো
তুলো তুলো
হয়ে যেন
ঝরছিলো।
মনের ভুলে
ছড়ার ফুলে
খোকন পকেট
ভরছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৬
আরএম