পৃথিবীতে একজন মানুষ আছেন, যাকে আমরা সবাই প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলি। সেই প্রথম দেখা থেকে শুরু- এরপর সারাটাজীবনই আমরা তাকে ভালোবেসে যাই।
কে এই মানুষটা?
মা।
আমাদের সবচেয়ে প্রিয় শব্দ “মা,” সবচেয়ে আপন মানুষটিও মা। মাকে ছাড়া পুরো পৃথিবীই যেন অন্ধকার। আমরা হাসলে মা হাসেন, আমাদের কান্না মাকে কাঁদায়, ভয় পেলেও মা-ই আগলে রাখেন বুকে।
সন্তানের জন্য মা সব ত্যাগ স্বীকার করেন, সব কষ্ট সহ্য করেন হাসিমুখে। মা আমাদেরকে মুখে তুলে খাইয়ে দেন, ঘরটা গুছিয়ে দেন, প্রিয় জিনিসগুলো মনে করে কিনে দেন। অথচ এই মানুষটি খেয়েছেন কিনা সেই খোঁজ আমরা বেশিরভাগ সন্তানই রাখি না। মায়ের প্রিয় খাবার কোনটা, প্রিয় রং কী- সে খোঁজও জানে খুব কম সন্তান।
তবুও মা কখনো দীর্ঘশ্বাস ফেলেন না। কখনো আমাদের কাছে কিছুই চান না।
কিন্তু যেই মানুষটি সবসময় আমাদের খেয়াল রাখেন, একটা দিন অন্তত আমাদের উচিত তার খেয়াল রাখা। সব কাজ, সব ব্যস্ততা দূরে ঠেলে একটা দিন মাকে উৎসর্গ করতেই মা দিবসের প্রচলন শুরু হয়।
১৯০৮ সালে আনা জার্ভিস তার মায়ের স্মরণে প্রথম মা দিবস পালন করেন। আনা জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিকর্মী যিনি আমেরিকান বেসামরিক যুদ্ধে আহত সৈন্যদের সহযোগিতা করতেন। ১৯০৫ সালে তার মা মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মা দিবসের প্রচলন করার জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করেন। ১৯১১ সালে তার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালিত হয়। ১৯১২ সালে আনা মা মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস পালনের আহ্বান জানান।
মা দিবসের প্রচলন সেখান থেকে হলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিনে মা দিবস পালন করে। তবে বেশিরভাগ দেশই মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালন করে।
আজ ৮ই মে, এই মাসের দ্বিতীয় রোববার। এই দিনটি আমরা মা দিবস পালন করে থাকি। মাকে ছোট্ট একটা উপহার দিয়ে জানিয়ে দাও তুমিও দিনটি উৎসর্গ করেছ মাকে, ছোট্ট একটা কাগজে না হয় লিখে দাও ‘ভালোবাসি মা’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
এএ/