ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

বাচ্চারা চুপচাপ রুটি আর পনির দিয়ে তাদের রাতের খাবার সারে। ওরা ভয়ে কথাও বলে না যদি খালা-খালু চিৎকার করে ওঠে। খাওয়া শেষে মাইক তার খালাকে বলে।

দয়া করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমরা কি মাঠে একটু হাঁটতে যেতে পারি? সে জিজ্ঞেস করে।
না, পারবে না, হ্যারিয়েট খালা চেঁচিয়ে বলে। সবাই সোজা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়বে। কাল অনেক কাজ পড়ে আছে, আর আমি চাই সবাই সকাল সকাল ওঠো।

বাচ্চারা হতাশায় একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু যেমন বলা তেমনটা তাদের করতেই হবে। ওরা যে বড় শোওয়ার ঘরটায় থাকে সিঁড়ি বেয়ে সবাই সেখানে যায়। কোণায় একটা পর্দার পেছনে মাইকের ছোট্ট বিছানা এবং এর মাঝামাঝি দুই মেয়ের বড় একটা বিছানা।
আমার ধারণা খালা-খালু আজ রাতে বাইরে যাবে, আর তাই ওরা আমাদের বিছানায় পাঠিয়ে দিয়েছে, মাইক বলে। ঠিক আছে, ওরা বাইরে গেলে, আমরও বেরিয়ে পড়বো এবং নদীর কাছে গিয়ে জ্যাকের সঙ্গে দেখা করবো।

তাহলে আর কাপড় ছাড়বার দরকার নেই, নোরা বলে। কাপড় পরা অবস্থাতেই আমরা চাদরের নিচে ঢুকে পড়ি, তাহলে দৌড়ে লেকের কাছে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

তিন শিশু কান পেতে থাকে। ওরা সামনের দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ শুনতে পায়। মাইক লাফিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এবং দৌড়ে সামনের দরজার কাছে যায়। সেখান থেকে সে বাইরে পথের দিকে তাকায়। খালা-খালুকে হেঁটে যেতে দেখে।

সে দৌড়ে অন্যদের কাছে ফিরে আসে। আমরা পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করবো, সে বলে। এরপর বের হবো। ওরা চুপচাপ বসে থাকে। তারপর সবাই সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে এবং পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়। তারপর যত দ্রুত পারা যায় লেকের দিকে ছুটতে শুরু করে। জ্যাক সেখানে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে।

হ্যালো জ্যাক, মাইক বলে। অবশেষে আসতে পারলাম। ওরা আমাদের বিছানায় পাঠিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু ওরা বাইরে যাওয়ার পর আমরা তোমার সঙ্গে দেখা করবার জন্য চলে আসি।
চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
**
এর আগের পর্ব: রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।