প্রচণ্ড উত্তেজনায় সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ধুয়ে-মুছে সরিয়ে রাখা হয়। এরপর জ্যাক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেই ঘন উইলো বনে ঢুকে পড়ে এবং সবাইকে পথ দেখিয়ে বনের একেবারে মাঝখানে ছোট্ট একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়।
এবার এভাবেই আমি বাড়ি বানাবার কথা ভাবছি, সে বলে। এই ছোট্ট উইলো গাছগুলো দেখেছ- এখানের এই গাছটা একটা ওখানে, একটা ওইদিকে, ওদিকের ওই দুটি এবং ওখানকার দুটি। ভালো, আমার মনে হচ্ছে গাছ বেয়ে উঠে ওপরকার শাখাগুলো একসঙ্গে বেঁধে দিলেই তোমরা বুঝতে পারবে। ওরা মাঝের এই ফাঁকা জায়গায় এসে খুব সুন্দর করে মিলেছে এবং আমরা ওদের একটার সঙ্গে আরেকটা জুড়ে দিতে পারবো।
এভাবেই ছাদটা শুরু করা যাবে। আমার কুঠার দিয়ে আমি আরও কিছু ছোট উইলো গাছ কেটে আনবো এবং কাণ্ড আর মোটা ডালপালা দিয়ে বেড়া তৈরি করবো। যে ছয়টা গাছ ঘর বানাবার কাজে ব্যবহার করবো ওদের কাণ্ড আর ডালপালা আমরা নিচে নামিয়ে আনবো এবং ছোট ছোট ডালপালা বুনে ওর ছিদ্রগুলো ভরাট করে দেবো।
এরপর কোণা আর বাকিসব ফুটো-ফাটা ফার্ন আর গুল্ম দিয়ে ভরাট করে দিলেই হলো। আমরা বাতাস আর বৃষ্টিমুক্ত, জমকালো ছাদওয়ালা বিশাল একটা বাড়ি পেয়ে যাবো। এ ব্যপারে তোমাদের কী ধারণা?
অন্যবাচ্চারা খুব অবাক হয়ে শুনছিল। নিজেদের কানকেই যেন ওদের বিশ্বাস হতে চাইছিল না। কাজটা কি এতোই সহজে করা যাবে?
জ্যাক, আমরা কি সত্যিই এটা করতে পারবো? মাইক বলে। শুনে তো সবকিছু ঠিকই মনে হচ্ছেÑ আর এই উইলো গাছগুলো বড় ও সুন্দর একটা বাড়ি বানাবার জন্য একে ওপরের থেকে সঠিক দূরত্বে রয়েছে। আর ওদের ওপরকার শাখাগুলো খুব ভালোভাবেই আবৃত।
চলবে....
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২১০৭
এএ