পাহাড়, মালভূমি, বালি, অনুর্বর ভূমি প্রভৃতিই মরুভূমি গঠনের মূল উপাদান। কোনো নির্দিষ্ট জায়গার উপর দিয়ে যখন একনাগাড়ে শুধু একই দিকে বাতাস বয়ে যায়, তখন সেখানকার মাটিতে কোনোরূপ রস থাকে না।
বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সাধারণত মরুভূমি বেশি দেখা যায়। এসব অঞ্চলে শীত-গরম সব মৌসুমেই সূর্যরশ্মি খাঁড়াভাবে পড়ে। তবে বিষুবরেখার বহু দূরেও মরুভূমি হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থলভাগ হবে সমুদ্র থেকে বহু দূরে। থাকবে উঁচু পাহাড়।
এক্ষেত্রে সমুদ্র থেকে আর্দ্রতা বা মেঘ কোনোটাই পাহাড় ডিঙাতে পারে না। এভাবে সৃষ্ট মরুভূমি হলো মঙ্গোলিয়ার গোবি।
মরুভূমিতে বছরে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয় না। দিনে থাকে প্রচণ্ড গরম, আবার রাতে ঠান্ডা। মরুভূমিতে খেজুর, গম, বার্লি চাষ হয়। যাযাবররা পানির জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর উট, ভেড়া, ছাগল প্রভৃতি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে।
খেজুর, গুল্মজাতীয় কিছু গাছ আর ক্যাকটাস জন্মায় মরু এলাকায়। এরা বাতাস থেকে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এএ