যেখানে বুনো রাজবেরি পাওয়া যাবে আমি তোমাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই, জ্যাক বলে। সে ওদের পাহাড় ঘুরে পশ্চিমে নিয়ে আসে এবং সেখানে আলো ঝলমল রোদে, শিশুরা থোকা থোকা জট পাকানো ঘন রাজবেরি দেখতে পায়।
জ্যাক! কতগুলো এরই মধ্যে পেকে টসটস করছে!” আনন্দে আত্মহারা হয়ে, নোরা চেঁচিয়ে ওঠে। সে পেকে লাল হয়ে থাকা থোকাগুলো দেখায়। বাচ্চারা ঝোপ জঙ্গল ঠেলে যে যার মতো পথ করে রাজবেরি পাড়তে শুরু করে। কী মিষ্টি আর রসালো! প্রতিদিন মাখনের সঙ্গে খাবার জন্য কিছুটা নিয়ে যাওয়া যাবে, পেগি বলে। আমি গরুর দুধ থেকে মাখন তুলে রাখব, আর রাতের খাবারে আমরা মাখন আর রাজবেরি খাব। ওহহহহ্!
ওহহহহ্! দ্রুত খেতে খেতে সবাই বলে ওঠে।
এই দ্বীপে কি বুনো স্ট্রবেরিও পাওয়া যায়? নোরা জানতে চায়।
হুম, জ্যাক বলে। কিন্তু অনেক দেরিতে ধরবে। আগস্ট, সেপ্টেম্বরের দিকে আমরা ওগুলো খুঁজতে আসব।
আমার মনে হচ্ছে দ্বীপটা সত্যিই খুব চমৎকার, চেহারায় সুখী একটা ভাব ফুটিয়ে তুলে, পেগি বলে। আমাদের নিজেদের চমৎকার একটা বাড়ি, মুরগি, গাভী, বুনো ফলের ভাণ্ডার আর আছে, প্রতিদিন পান করবার জন্য অঢেল স্বাদুপানি!
গরমকাল বলে এখন এমন মনে হচ্ছে, জ্যাক বলে। শীতের বাতাস বইতে শুরু করলে কোনো কিছুই আর তখন এমন চমৎকার বলে মনে হবে না! তবে শীত আসতে এখনও অনেক দেরি।
ওরা টিলার পাথুরে পশ্চিমঢাল বেয়ে পাহাড়ে ওঠে। একেবারে ওপরে বিশাল একটা শিলাখণ্ডের কাছে এসে সেটার ওপর বসে। পাথরটা এতটাই গরম ছিল যে একটু হলেই ওরা পুড়তে বসেছিল। নিচে অনেক দূরে ওদের জ্বালানো আগুন হতে নীলচে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়ে আসতে দেখা যায়।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এএ