একটা নৌকায় কয়েকজন লোক! জ্যাক বলে। তোমারা ওদের দেখতে পাচ্ছ? দূরে ঐ নিচে!
হুম, মাইক বলে, ওর মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে আসে।
না, খানিক বাদে, জ্যাক বলে। মনে হচ্ছে গ্রামোফোনের শব্দ- কেউ আমাদের খোঁজে আসলে ওটা সঙ্গে আনতো না, সম্ভবত ওরা ঘুরতে বেরিয়েছে, হ্রদের অন্যপাড়ের গ্রামের লোক হবে।
ওরা কি দ্বীপে আসবে? পেগি জানতে চায়।
তা বলতে পারছি না, জ্যাক বলে। আসতেও পারে, তবে খুব বেশি সময় থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের সব চিহ্ন লুকিয়ে রাখতে পারলে ওরা আমাদের কথা জানতে পারবে না।
তাহলে, চলো, পাথর থেকে পিছলে নেমে এসে, মাইক বলে। শিগগিরই যাওয়া উচিত। ওদের এখানে আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
বাচ্চারা দ্রুত সৈকতে চলে আসে। জ্যাক আর মাইক আগুন নেভায় এবং পোড়া কাঠগুলো ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে ফেলে। আগুন ধরাবার জায়গাটিতে শুকনো বালি ছিটিয়ে দেয়। জিনিসপত্র সব তুলে নিয়ে লুকিয়ে ফেলে।
মনে হয় না কেউ উইলো বাড়িটা খুঁজে পাবে, জ্যাক বলে। চারদিকের গাছগুলো সত্যিই খুব ঘন তাই ঘুরতে আসা কেউ ওর ভেতর ঢুকতে পারবে না।
মুরগিগুলোর কী হবে, পেগি বলে।
ওদের ধরে এখনকার মতো একটা বস্তার ভেতর পুরে রাখব, জ্যাক বলে। মুরগির উঠোনটা খালিই পড়ে থাকুক। মনে হয় না কেউ ওটা দেখতে পাবে, ওটা আড়ালেই আছে। তবে মুরগিগুলোকে কিছুতেই ওখানে বসে কক্ কক্ করে চেঁচাতে দেওয়া যাবে না!
আর ডেইজি, গাভীটা? পেগি বলে, তাকে চিন্তিত দেখায়।
আচ্ছা আগে দেখো, ওরা কোনদিক দিয়ে দ্বীপে নামে, জ্যাক বলে। যতদূর জানি, এই দ্বীপে একটাই নামার জায়গা, আর সেটা আমাদের এই সৈকত। দ্বীপের ওপাশটায় ঘুরতে না গেলে ওরা ডেইজিকে দেখতে পাবে না। আর আশা করছি ওরা ওদিকটায় যাবে না!
আমরা কোথায় লুকাবো? নোরা বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এএ