শত শত পুঁচকে কালো বাদুড় বেরিয়ে আসে। উষ্ণ, বজ্রনির্ঘোষ সন্ধ্যায় হাজার হাজার পতঙ্গ বেরিয়ে আসতে বাধ্য হওয়ায় বাদুড়রা দারুণ একটা ভোজের সন্ধান পেয়ে উড়ন্ত মাছি আর গুবরেপোকা ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এই বাদুড়গুলোই ওদের চলে যেতে বাধ্য করে। একজন নারী গাছের নিচে ঘুরপাক খাওয়া অবস্থায় দু’তিনটে বাদুড় দেখতে পেয়ে আর্তনাদ করে ওঠে।
ওওহ্!” বাদুড়! আমি বাদুড় মোটেই সহ্য করতে পারি না! আমি ওদের ভীষণ ভয় পাই। সবকিছু গোছগাছ করে চলো শিগগিরই ফিরে যাওয়া যাক!
ওরা তোমাকে আঘাত করবে না! অন্য নারী তীক্ষœকণ্ঠে বলে। ভয়ানক পুঁচকে জন্তু!
ওরা তোমাকে আঘাত করবে না, পুরুষকণ্ঠ বলে ওঠে। বাজে বকো না।
আমি সহ্য করতে পারি না, ভীষণ ভয় পাই, আমি যাচ্ছি!
তাহলে আমি যে দ্বীপটা ঘুরে দেখতে চেয়েছিলাম, এডি বলে।
ঠিক আছে, তুমি আরেকদিন এসে এটা ঘুরে দেখবে, নারীটি বলে। আকাশের অবস্থাও দেখোÑ ভয়ানক একটা ঝড় হবে।
ঠিক আছে, ঠিক আছে, গোমড়া মুখে এডি বলে। আমি গেলাম। সুন্দরীর আবার গোটাকয়েক বাদুড়ে ভয়!
শিশুরা আনন্দে একে অপরের দিকে তাকায়। বেড়াতে আসা লোকগুলো সত্যিই চলে যাচ্ছে। তাহলে কেউ তাদের কথা জানতে পারছে না। কি মজা! কি মজা!
দারুণ সব বুড়ো বাদুড়! জ্যাক ফিসফিস করে বলে। উড়ন্ত এই ইঁদুরগুলোকে আর কেউ কি এত ভয় পেত, নোরা?
হ্যারিয়েট খালা পেত, নোরা বলে। জানি না কেনো। আমার কাছে ওরা মজার কালো ডানাওয়ালা আদুরে পুঁচকে প্রাণী। যাই হোক, এখন থেকে সব সময় ওদের আমার বন্ধু বলেই মনে হবে। ওরা আমাদের খোঁজ পাওয়া থেকে রক্ষা করেছে!
গাভী ডেইজি হাম্বা বলে চিৎকার করে ওঠে। জ্যাক ভ্রু কোঁচকায়। ওরা আসার আগেই যদি ডেইজির দুধ দুইয়ে রাখতাম! সে বলে।
সবাই শুনতে পাচ্ছ? বেড়াতে আসাদের একজন বলে। দূরে মেঘ গর্জাচ্ছে!
বাচ্চা চারটে খিলখিল করে হাসে। নোরা গড়াগড়ি খায় আর হাসি থামাতে দু‘হাত দিয়ে শক্ত করে মুখ ধরে থাকে।
দারুণ দেখালে বুড়ো ডেইজি! মাইক ফিসফিস করে। এখন সে বিদুৎ চমকাবার ভান করে, ভয় পাইয়ে ওদের তাড়িয়ে দিচ্ছে!
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এএ