ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশুর সুন্দর হাতের লেখায় উৎসাহ দেবে ‘লেখার লড়াই’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
শিশুর সুন্দর হাতের লেখায় উৎসাহ দেবে ‘লেখার লড়াই’ ‘লেখার লড়াই’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথিরা-ছবি-দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: হাতের লেখার মধ্যে লেখনীর যে আবেগ থাকে, তা বর্তমান সময়ের কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে পাওয়া যায় না। এক সময় হাতের লেখা দিয়ে অপরাধী ধরা হতো। তাই সুন্দর হাতের লেখা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও শিশু একাডেমির মহাপরিচালক সেলিনা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির ইনডোর থিমপার্ক টগি ওয়ার্ল্ডের আয়োজনে ‘লেখার লড়াই’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সুন্দর হাতের লেখা সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়। আবার হাতের লেখা পরিস্কার হলে তা পড়তেও সুবিধা। তাই সুন্দর হাতের লেখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে উৎসাহিত করা উচিৎ। আর ‘লেখার লড়াই’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টগি ওয়ার্ল্ড সে কাজটিকেই আরও সহজ করে দিলো।

প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষের হাতে-কলমে লেখার অভ্যেসটা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সময় ছিলো যখন পরীক্ষায় সুন্দর হাতের লেখার জন্য ৫ নম্বর থাকতো। যুগ পাল্টেছে, এখন সবার ঘরে ঘরে ল্যাপটপ, হাতে মুঠোফোন বা ট্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট বা পরীক্ষার খাতাও এখন দেখা হয় অনলাইনে। তবে শিশুদের মানসিক বিকাশে হাতের লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই অভিভাবকদের উচিৎ তাদের শিশুকে সুন্দর করে হাতের লেখা শিখতে উৎসাহিত করা।

শিশুদের সুন্দর হাতের লেখায় উৎসাহ যোগাতে বসুন্ধরা সিটির ইনডোর থিমপার্ক শুরু করছে ‘টগি ওয়ার্ল্ড লেখার লড়াই’। প্রতিযোগিতায় রাজধানীর ২০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা গ্রুপ পর্যায়ে অংশ নিতে পারবে।

প্রতিটি স্কুলের ৬ জন বিজয়ীর জন্য থাকবে টগি ওয়ার্ল্ডে সম্পূর্ণ ছাড়ে সব রাইড উপভোগের সুযোগ। যারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকবে, তাদের জন্য রয়েছে টগি ওয়ার্ল্ডের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাতের লেখা সুন্দর করানোর ফ্রি কোর্স।

এ বিষয়ে টগি ওয়ার্ল্ড ও বসুন্ধরা সিটির হেড অব মার্কেটিং এমএম জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সন্তানেরা এখন সময় ব্যয় করে নানা ডিভাইসের পেছনে। তাই হাতের লেখাকে এখন প্রাচীন কালের অংশ মনে করা হয়। বিষয়টি এমনই উদ্বেগজনক যে, একসময় হয়তো এমন একটি প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তারা নিজের হাতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করতে পারবে না। তাই হাতের লেখাটা বেশ জরুরি এবং এটা শেখানোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য রয়েছে সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সাল স্টুডিও, মালযেশিয়ার সানওয়ে ল্যাংগুং ও থাইল্যান্ডের কার্টুন নেটওয়ার্ক আমাজন পার্ক ট্রিপের সুবর্ণ সুযোগ। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের তাদের স্কুলেই টগি ওয়ার্ল্ড বুথ থেকে নিবন্ধন করতে হবে। এর প্রথম রাউন্ড নিজ নিজ স্কুলেই অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ অংশে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও ইমদাদুল হক মিলন টগি ওয়ার্ল্ড বোর্ডে নিজেদের মন্তব্য লেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এইচএমএস/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।