এক বনে একবার সিংহ মশাই অন্য রাজ্যে গেল বেড়াতে। সিংহ ছিল বনের রাজা।
হাতি বললো, আমি হবো।
বানর বললো, তুইতো ব্যাটা শরীর নিয়ে নড়তে পারিস না। রাজ্য চালাবি কিভাবে? রাজা আমি হবো।
হরিণ বললো, তুইতো থাকিস গাছের উপর, নিচে কি হচ্ছে জানবি কিভাবে? রাজা আমি হবো।
বাঘ বললো, তাহলে তো একদিন পরপর রাজা পাল্টাতে হবে। যেই রাজা হও আমার কিছু বলার নেই। আমার শুধু খাইতে পারলেই হলো।
গন্ডার বললো, তাহলে আমি রাজা হই।
জিরাফ বললো, একটা লাথি মারলে সাত দিন পর টের পাও তুমি হবা রাজা। রাজা আমি হবো।
শুকর বললো, ব্যাটা লম্বু তোর বুদ্ধি হইলো হাটুতে। তুই হবি রাজা? রাজাতো আমি।
মহিষ বললো, তোর নাম বললেইতো মনে হয় গালি দিতেছি, তুই রাজা হবি কেমনে? রাজাতো আমি হবো।
ছাগল বললো, ব্যাটা জংলী ভূত, রাজা হওয়ার অধিকার আমার।
গাধা বললো, ছাগলে কিনা বলে, পাগলে কিনা খায়, তুই হবি রাজা। রাজা আমি।
এভাবে সবাই নিজেকে রাজা দাবি করতে লাগলো। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না। এক সময় সবার মধ্যে তর্ক বেঁধে গেলো। তর্ক আস্তে আস্তে মারামারির রূপ ধারণ করলো। শিয়াল পড়ল মহাবিপদে। একি অবস্থা, মিল করতে এসে মারামারি বেধে গেল। এখন জীবনটা যায় যায় অবস্থা। ওদিকে বাঘও মহাখুশি। খাবারের অভাব নেই। একেই বলে রাজভোগ।
হঠাৎ করে কে যেন হুংকার দিয়ে বলে উঠলো, কে আমার রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। হুংকার শুনে সবাই নিশ্চুপ হয়ে গেল। সবাই বুঝে গেছে, এই হুংকার বনের রাজা সিংহ ছাড়া আর কারও না। সবাই যে যার মত লেজ গুটিয়ে পালাতে শুরু করলো।
শিয়াল হাসতে হাসতে বললো, যে রাজা তাকে বলতে হয় না, সে এমনিতেই রাজা।