ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

২৫ মার্চ কেন গণহত্যা দিবস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
২৫ মার্চ কেন গণহত্যা দিবস গণহত্যার ফাইল ছবি

ঢাকা: ২৫ মার্চ কোটি বাঙালির জন্য এক বিষাদের দিন। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই দিনটি গণহত্যা দিবস? 

এটা জানার আগে জেনে নেওয়া উচিত, ‘গণহত্যা’ বলতে আসলে কী বোঝায়।

গণহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইড (Genocide)।

জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, গণহত্যা বা জেনোসাইড হচ্ছে এমন কর্মকাণ্ড যার মাধ্যমে একটি জাতি বা ধর্মীয় সম্প্রদায় বা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালানো হয়। তাছাড়া কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একসঙ্গে বা অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকেও গণহত্যা বলা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অসহায় নিরপরাধ বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা শুরু করে। এ হত্যাযজ্ঞটি পাকিস্তানিদের পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ দমন ও স্বাধীনতাকামীদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলা।  

এ লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে হানাদাররা একযোগে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। অবিরাম গুলির শব্দে রাতের নির্জনতা খানখান হয়। রাস্তার মোড়ে, অলিতে-গলিতে, ডাস্টবিনে, মাঠে-ঘাটে, বন্দরে জমা হতে থাকে লাশের পর লাশ। এদের কেউ শ্রমিক, কেউ চাকরিজীবী, কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক, কেউ ভিক্ষুক, কেউ শুধুই একজন সাধারণ বাঙালি। এমন পাশবিকতা ইতিহাসে বিরল।

এভাবেই ২৫ মার্চ শুরু হয় গণহত্যা। চলে দীর্ঘ নয় মাস। দীর্ঘ হতে থাকে নিরীহ বাঙালির লাশের মিছিল। শহীদ হন ৩০ লাখ মানুষ। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের এ হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের সবচেয়ে ভয়ংকর পাঁচটি হত্যাযজ্ঞের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করা হয়।  

তাই, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীকে নির্মমভাবে হত্যা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবাদ করার দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ২৫ মার্চ। এখন চেষ্টা চলছে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।