যখন আর ভার সহ্য করতে পারছিল না এবং পকেটের টাকাও ফুরিয়ে আসে, তখন তড়িঘড়ি করে জ্যাক নৌকার দিকে রওয়ানা হয়। সে ভাবছে ব্যাগ আর বাক্সগুলো খোলার সময় আজ রাতে সবাই কতই না খুশি হবে!
মাইক অধৈর্য হয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে।
১৫. ধরা পড়ছিল জ্যাক
জ্যাকের আনা সব জিনিস খোলার সময় সেই সন্ধ্যায় ভীষণ মজা হয়! মাইক সবকিছু নিয়ে জ্যাককে সৈকতে আসতে সাহায্য করে। এবং নোরা আর পেগি উত্তেজনার লাফাতে লাফাতে চেঁচাতে থাকে।
আটা! অনেক বেশি! এবার আমি মাছ আর ডিম দিয়ে তোমাকে রোল বানিয়ে দিতে পারবো! পেগি আনন্দে চেঁচিয়ে বলে। আর এই তো আমার উল- আর আমার সুতা!
আর মাখন- ওহ্, আর চকলেট! মাইক চেঁচিয়ে ওঠে। চকলেট খেতে কেমন তা তো আমি বলতে গেলে ভুলেই গেছি!
ওহ্, জ্যাক তুমি খুব বুদ্ধিমান, পেগি বলে। তুমি কি মাশরুম আর স্ট্রবেরি সব বেচতে পেরেছ?
প্রত্যেকটা ঝুড়ি, জ্যাক বলে। এবং, সবচেয়ে বড় কথা, লোকেরা আমাকে সামনের সপ্তাহে আরো বেশি করে নিয়ে যেতে বলেছে- তাই আমি আরো বেশি টাকা আয় করতে পারবো এবং শীতের জন্য অনেক বেশি জিনিসপত্র মজুদ করে রাখতে পারবো! এই নিয়ে কিছু বলার আছে তোমার?
দারুণ, ক্যাপটেন! সবাই আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। চোখে দেখার জন্য মোমবাতি, খাওয়ার জন্য চমৎকার সব খাবার, পড়ার জন্য বই, চিবানোর জন্য চকলেট! কত আরাম! হুর-র-রে!
তুমি কি আমার মুরগির জন্য ভুট্টা এনেছ, জ্যাক? চিন্তিত নোরা জিজ্ঞেস করে।
হুম, এই তো এখানেই আছে! জ্যাক বলে। আর এই কেটলি এবং এনামেলের বাসনের কী হবে, পেগি? আমি ভেবেছিলাম এগুলো তোমার পছন্দ হবে।
চলবে…
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
এএ