জেনে নেওয়া যাক পেঙ্গুইন সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
১. পেঙ্গুইনের পালক ওয়াটারপ্রুফ।
২. পেঙ্গুইনের সাদা-কালো পালক শিকারি প্রাণীর চোখ ফাঁকি দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পানিতে ঘুরে বেড়ানোর সময় এদের কালো অংশ থাকে উপরে এবং সাদা অংশ থাকে নিচে। এই সাদা রং আকাশের আলোর সঙ্গে এবং কালো রং সমুদ্রের অন্ধকারের সঙ্গে মিশে ক্যামোফ্লেজ তৈরি করে।
৩. বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে পেঙ্গুইনের সব পালক ঝরে যায় এবং এর বদলে নতুন পালক জন্মায়। পালক পরিবর্তন হতে ১৪ থেকে ২১ দিন সময় লাগে। এসময় পেঙ্গুইন পাখিকে দেখায় ফাটা বালিশের মতো।
৪. বেশ কিছু জনপ্রিয় কার্টুনে পোলার বিয়ার ও পেঙ্গুইনকে একত্রে অবস্থান করতে দেখা যায়। বস্তবে তা সম্ভব নয়। কারণ পোলার বিয়ারদের বসবাস উত্তর গোলার্ধে এবং পেঙ্গুইনের বসবাস দক্ষিণে। বাস্তবে এদের কখনও দেখা হয়নি।
৫. অ্যান্টার্কটিকার বাইরেও পেইঙ্গুইন বসবাস করে। পৃথিবীতে ১৮ প্রজাতির পেঙ্গুইন রয়েছে। এর মধ্যে শুধু দুই প্রজাতির পেঙ্গুইন অ্যান্টার্কটিকায় বসবাস করে। বাকিরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার মতো উষ্ণ অঞ্চলে বসবাস করে।
৬. স্থলের তুলনায় পানির নিচ দিয়ে চলাচলের সময় পেঙ্গুইনরা চোখে বেশি ভালো দেখতে পায়।
৭. খালি চোখে একটা পেঙ্গুইনকে দেখে বলা সম্ভব না যে এটা ছেলে নাকি মেয়ে।
৮. আফ্রিকান পেঙ্গুইনের দেহে কিছু বিন্দু বিন্দু দাগ দেখা যায়। মানুষের আঙুলের ছাপ যেমন একজনেরটা অপরের তুলনায় আলাদা, আফ্রিকান পেঙ্গুইনের এ দাগগুলোও ইউনিক।
৯. পৃথিবীতে পেঙ্গুইনের বিচরণ শুরু মানুষেরও অনেক আগে। এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন পেঙ্গুইনের ফসিলটি প্রায় ৬ কোটি বছর আগের।
১০. পানির নিচে পেঙ্গুইনরা নিঃশ্বাস না নিয়েও ২০ মিনিট কাটিয়ে দিতে পারে।
তবে দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমানে পেঙ্গুইনরা ভয়ানক হুমকির মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অতিরিক্ত মাছ শিকারের কারণে কমে যাচ্ছে পেঙ্গুইনের খাদ্য উৎস। মানুষের ফেলা বর্জ্যের কারণে ধ্বংস হচ্ছে এদের বিচরণক্ষেত্র। মাত্র এক যুগের মধ্যে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এনএইচটি/এএ