মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এক্সেল একাডেমিত স্কুলে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন টগি ওয়ার্ল্ড ও বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের হেড অফ মার্কেটিং এম এম জসিম উদ্দিন।
এ সময় তিনি বলেন, হাতের লেখাটা এখন বেশ জরুরি এবং এটা শেখানোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷ সবাই এখন ই-মেল করে, মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠায়। আমাদের সন্তানেরা খুব বেশি সময় ব্যয় করে প্রযুক্তি নির্ভর নানা ডিভাইসে। শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের হাতের লেখার প্রতি উৎসাহিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দর হাতের লেখার ঐতিহ্য ধরে রাখুক।
প্রাথমিকভাবে পাঁচটি স্কুলের দু’টি গ্রুপের প্রতিটি থেকে ১০টি করে মোট ১০০ শিশুর খাতা বিচারকমন্ডলীর কাছ থেকে সংগ্রহ করে। পরে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সাংবাদিক, নাট্যকার ও কলাম লেখক, বর্তমানে কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি খুবই সুক্ষভাবে খাতা দেখে বিজয়ী নির্বাচন করেন।
প্রতিযোগিতার জন্য পাঁচটি স্কুল থেকেই সেরা তিন জনকে বাছাই কর চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
স্কুলভিত্তিক দু’টি গ্রুপের প্রতিটি থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের (সর্বমোট
৬ জনকে) পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থসহ টগি ওয়ার্ল্ডে যেকোন দিন আনলিমিটেড এন্ট্রি
এবং রাইড সম্পূর্ণ ফ্রি দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ থেকে ২০তম স্থান অর্জনকারীদের জন্য রয়েছে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা।
এক্সেল একাডেমি স্কুলে পারফেক্ট গ্রুপ থেকে প্রথম হয়েছে কেফায়েতুর রহমান, দ্বিতীয় স্থানে
রয়েছে অঙ্কিতা পোদ্দার, তৃতীয় স্থানে মো, মুহতাসিম। চ্যালেঞ্জর গ্রুপ থেকে প্রথম হয়েছে রাফিদা রিয়াজ, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জায়মা নওরীন ফাতিমা, তৃতীয় স্থানে আরিয়ান জিয়াদ আনোয়ার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এক্সেল একাডেমি স্কুলে ভাইস প্রিন্সিপাল জাবিন মাহবুব, টগি ওয়ার্ল্ড ও বসুন্ধরা সিটির জিএম, মার্কেটিং, আসিফ ফেরদৌস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
জিপি