ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বয়ঃসন্ধির পর সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয় মেয়েরা: ইউনিসেফ

ইচ্ছেঘুড়ি প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১
বয়ঃসন্ধির পর সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয় মেয়েরা: ইউনিসেফ

ঢাকা: পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়ে শিশুরা নিজ গৃহে বৈষম্যের শিকার না হলেও, অল্প বয়সী মেয়েরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানো ও কৈশোরপ্রাপ্ত হওয়ার পর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চাপের মুখে বৈষম্যের শিকার হয়। মঙ্গলবার ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্নভাবে মেয়ে শিশুদের এই বৈষম্যের শিকার হতে হয়, যেমন- মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছানোর পর স্কুল ছেড়ে দেওয়া, সঙ্গী ছাড়া মেয়েদের বাড়ির বাইরে যেতে না দেওয়ার প্রচলন, যৌন হয়রানির  শিকার হওয়া এবং শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা।

‘এ পারসপেকটিভ অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইউনিসেফের এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য হলো- বাংলাদেশে অল্পবয়সী মেয়ে শিশুদের অবস্থা এবং তা থেকে তাদের কৈশোরে উন্নীত হওয়ার পথে যেভাবে পরিবর্তন ঘটে, তার একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরা।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ইকবাল মাহমুদ, ইউএন উইমেন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ এম. আহমেদ, ইউনিসেফের শিশু অধিকার বিষয়ক অ্যাডভোকেট আরিফা জামান মৌসুমী এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি ক্যারেল ডি রয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ছেলে ও মেয়ের অনুপাতের ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হলো ১০৫ জন ছেলের বিপরীতে জন্ম নেয় ১০০ জন মেয়ে। বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সীদের মধ্যে অনুপাত হলো ১০৭.৫ জন ছেলের বিপরীতে ১০০ জন মেয়ে। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ১০৫ জন পুরুষের বিপরীত রয়েছে ১০০ জন নারী।

প্রতিবেদনে বিদ্যমান এই পরিস্থিতিকে ‘দুশ্চিন্তাজনক’ হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী। এই চিত্রটি সবচেয়ে ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায় বান্দরবান, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলায়।

বয়ঃসন্ধিকাল এবং আইনসংগতভাবে সাবালকত্ব (১০-১৯ বছর বয়স) প্রাপ্তির পর মেয়েদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হচ্ছে- সামাজিক বিভিন্ন বিধি-নিষেধ ও নিয়ম, যার একটি বড় উদাহরণ বাল্যবিবাহ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে নারী-পুরষের সমতার লক্ষ্যসমূহে অগ্রগতি সাধনের জন্যে প্রয়োজনীয় কাজে সরকারের সঙ্গে সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা লুজমা মোনতানো এবং কনসালটেন্ট ড. ডির্ক ওয়েস্টহফ্।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।