নারে মা বকবে।
রতন, সাকিব, বাবু, সুজন সবাই এসেছে।
চল না।
বন্ধুর ডাক ফেলতে পারি না। বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলায় অনেক আনন্দ হয়।
এক দৌড়ে চলে যাই মাঠে।
খেলা শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের অনেক বকুনি খেতে হলো।
বকুনি দিয়ে মা একটি তোয়ালে নিয়ে এলেন।
কাকভেজা হয়ে গেছিস। এভাবে কেউ বৃষ্টিতে ভেজে। কবে যে দস্যিপনা কমবে তোর।
তারপর তোয়ালে দিয়ে মাথার পানি মুছে দিলেন।
তখন সন্ধ্যে হতে কিছু সময় বাকি। ভীষণ শীত শীত করতে লাগলো।
মাকে ডেকে বললাম,
মা আমার খুব শীত করছে।
মা কপালে হাত দিয়ে দেখলেন।
জ্বরে যে গা একেবারে পুড়ে যাচ্ছে।
তোকে নিয়ে আর পারি না বাপু। কেন এই অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজতে গেলি?
আমার কথা কেন শুনিস না। বল তো?
মা কপালে জলপট্টি দিলেন। বাবাকে ওষুধ আনতে পাঠালেন।
একি?
মায়ের চোখে পানি। মা কাঁদছেন।
মায়ের চোখে পানি দেখে ভীষণ খারাপ লাগলো আমার।
মায়ের চোখে পানি কখনোই দেখতে চাই না আমি।
আমার ভুল হয়ে গেছে মা। এখন থেকে তোমার সব কথা শুনবো।
মা চোখের পানি মুছে মৃদু হাসলেন।
মায়ের মুখের হাসি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
মনে মনে বললাম, মাকে আর কখনো কষ্ট দেবো না। তার সব কথা মেনে চলবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এএ