দরকার হলে খুব সহজেই তুলে এনে আবারও মেরামত করে নেওয়া যাবে। পেগি, প্রত্যেকটা জিনিস নিখুঁতভাবে সাফ করা হচ্ছে কিনা তা কি তুমি দেখে রাখতে পারবে, যা দেখার পর লোকে বুঝতে পারবে আমরা এখানে আছি? দেখো ওখানে কয়েক টুকরো উল পড়ে রয়েছে।
আমি এসব দেখে রাখবো, পেগি অঙ্গীকার করে। জ্যাক জানে কাজটা সে পারবে, কারণ সে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটা মেয়ে।
আজকের মধ্যে সবকিছু গুহায় সরিয়ে নিতে হবে, জ্যাক বলে। কেবল রান্না করতে যে দু’চারটা জিনিসের দরকার, ধরো সসপ্যান, কেটলি এসব ছাড়া। শেষ মুহূর্তে খুব সহজেই আমরা ওগুলো সরিয়ে ফেলতে পারবো। গুহায় যাওয়ার আগপর্যন্ত উইলো বাড়িতে ঘুমাতে হবে বলে আমরা ওখানে দু’একটা মোমবাতি রাখবো।
জ্যাক, মুরগির উঠানের কী হবে? নোরা জিজ্ঞেস করে। মুরগিরা খুব বেশি খামচা-খামচি করায়, জায়গাটা দেখতে এখন সত্যিকারের একটা উঠানের মতোই মনে হয়।
ঠিক বলেছ, জ্যাক বলে। ঠিক আছে, আমাদের লুকাতে হবে কথাটা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে মাইক গিয়ে মুরগির উঠানের চারপাশের বেড়া তুলে নিয়ে উইলো বাড়িতে রেখে আসবে। তারপর সে উঠানের ওপর বালি ছড়িয়ে গুল্ম দিয়ে ঢেকে দেবে। তুমি কথাটা ভেবে খুব ভালো করেছ, নোরা।
আরেকটা জিনিস, কয়েক দিনের জন্য লুকিয়ে থাকতে হলেও আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট খাবার থাকা চাই! পেগি বলে।
তাহলে, ডেইজির কী হবে? মাইক বলে। ওর জন্য তো খাবার মতো কিছু থাকছে না। একটা গরু প্রচুর খাবার খায়।
খাবার খাওয়াবার জন্য ওকে আমাদের রাতের বেলা বাইরে নিয়ে যেতে হবে, জ্যাক বলে। আর একটা কথা বলে রাখছি পেগি, দিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রান্নার আগুন জ্বালবে না। আর কাজ শেষে যত দ্রুত সম্ভব তা নিভিয়ে ফেলবে। একচিলতে ধোঁয়া যে কোনো কিছুর আগে আমাদের দূরে ঠেলে দিতে পারে!
এখনই কেউ পাহাড়ের ওপর যেতে চাইলে কেমন হয়? মাইক বলে। সূর্যটা উপরে উঠছে। এখন থেকেই আমাদের পাহারা শুরু করতে হবে।
হুম, অবশ্যই, জ্যাক বলে। তুমিই প্রথম পাহারা দেবে মাইক। নেমে আসার সময় হলে আমি তোমাকে ডাকবো। আমরা সারাদিন পালা করে পাহারা দেবো। চারদিকে নজর রাখবে। কে জানে হ্রদের কোন মাথা দিয়ে কখন একটা নৌকা চলে আসে, যদিও গতকাল যেখানে ছিলাম সেখান দিয়ে আসার সম্ভাবনাই বেশি।
মাইক পাহাড়ে উঠে সেখানে গিয়ে বসে থাকে। নিচে গাঢ় নীল হ্রদ। কোনো রাজহাঁস বা জলকুক্কুট ওর ওপরকার জলে আলোড়ন তুলছে না। কোনো নৌকাও চোখে পড়ে না। মাইক সতর্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
চলবে…
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এএ