ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বিশ্বের নয়নাভিরাম ৬ সেতু

আরিফুল ইসলাম আরমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১১
বিশ্বের নয়নাভিরাম ৬ সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতু: বঙ্গবন্ধু সেতু বিশ্বের ১২তম এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু। যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়।

সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। ৫০টি পিলারে স্হাপিত সেতুটিতে সড়ক ও রেলপথ ব্যাবস্হা রয়েছে। আছে গ্যাস পাইপ লাইন।

খাজু সেতু: ইরানের ইসফাহানে জায়ানদেশ নদীর পর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৬৫০ সালে। সেতুটি নির্মাণ করেন পার্সিয়ার রাজা শাহ আব্বাস। ১৮৭৩ সালে সেতুটি সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ১০৫ মিটার এবং প্রস্হ ১৪ মিটার। দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি ইট-পাথরের তৈরি।

টাওয়ার সেতু: ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে অবস্হিত এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৯৪ সালে। টেমস নদীর ওপরে অবস্হিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৪৪ মিটার। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১,৮৪,০০০ পাউন্ড। মজার ব্যাপার হচ্ছে নদীতে বড় ও উঁচু কোনো নৌযান সেতুটিকে অতিক্রম করার সময় দুই পাশ থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝ থেকে সেতুটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়।

বাতাস ও বৃষ্টির সেতু: (দ্য উইন্ড অ্যান্ড রেইন ব্রিজ) শত বছরের পুরনো এই সেতুটি চীনে অবস্হিত। চারপাশ আবৃত থাকায় সেতুটি ব্যবহারের সময় রোদ-বৃষ্টি ও ঝড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে সেতুটি নির্মাণে কোনো পেরেক ব্যবহার করা হয়নি।

কাপিলানো সাসপেন্সন সেতু: বিশ্বের অন্যতম সুন্দর একটি সেতু হচ্ছে কানাডার কাপিলানো সাসপেন্সন সেতু। ১৮৮৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কাপিলানো নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৫০ ফুট এবং প্রস্থ ২৩০ ফুট।

সোনালী দুয়ার সেতু: (দ্য গোল্ডেন গেট ব্রিজ) আমেরিকার সান ফ্রান্সিস্কোতে অবস্হিত এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৩৭ সালে। সেতুটির ২.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৭.৪০ মিটার (৯০ ফুট) প্রস্থ। ৬ লেন বিশিষ্ট এই সেতুদিয়ে দৈনিক গড়ে ১,১৮,০০০ যানবাহন চলাচল করে। সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ৩৫ মিলিয়ন ডলার।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।