রতন ক্লাস ফোরে পড়ে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ওর প্রতিদিনের রুটিন পাল্টে গেছে।
শরতের সুন্দর একটা সকাল আজ। বাসার সামনের শিউলিতলে সাদা সাদা ফুলের মেলা। রতন অবাক হয়ে দেখতে থাকে। দুটো চড়ুই ওর সঙ্গে সখ্য করেছে। প্রতিদিন ঘরের কার্নিশে এসে বসে। রতনকে দেখলে ওরা পালায় না। গতকাল থেকে একটা গল্পের বই পড়া শুরু করেছে। রহস্যগল্প। যত পড়ছে তত গল্পের ভেতর ডুবে যাচ্ছে সে।
রতনের বাবা আজ বাসার সবার জন্য কেনাকাটা করেছেন। তিনি এরকমই। মন চাইলেই সবার জন্য উপহার নিয়ে আসেন। আজকের উপহার কেন জানতে চায় রতন। বাবা মজা করেই বলেন চড়ুইয়ের জন্মদিনের উপহার। সবাই বেশ মজা পায়। রতন আজ সুন্দর একটা ডিজিটাল ঘড়ি উপহার পেয়েছে। ঘড়িটা ঘরের তাপমাত্রাও দেখায়। রতন খুশি। অনেক খুশি।
রাতে খাবার টেবিলে বসে রতনকে চমকে দেয় বাবা। খুব সুন্দর একটা কলম পকেট থেকে বের করে বাবা বলেন, এটা জাদুর কলম! এই কলম আমি রতনকে দেবো। এই কলম দিয়ে কোনো মিথ্যা লেখা যাবে না। মিথ্যে লিখলেই ধরা পড়ে যাবে।
রতন জাদুর কলম পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই কলমটি দেখে। কী সুন্দর কলম! মা প্রতিদিনকার মতো রতনকে পড়তে বসতে বললে জাদুর কলম দিয়ে রতন লেখে, মা আজ পড়তে ইচ্ছে করছে না।
রতনের এই কাণ্ডে মা-বাবা দু’জনই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন। বাবা বলেন, পৃথিবীর সব কলম জাদুর কলম হলে মন্দ হয় না!
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
এএ