এই গল্পের শুরুটা আর দশ গল্পের মতই, কিছুটা পুরনোও বলা যায়।
বাবা তার ছেলে বাস করতো ঢাকার বারিধারায়।
বাবা ছিলেন প্রচন্ড কাজ পাগল মানুষ। আর ছেলেটি ছিল ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। বয়স ১৯। বাবা যখন চাকুরী থেকে অবসর নেন তখন ছেলের বয়স ১৫। বাবা সারাদিন বসে বসে কাটাতেন আর ভাবতেন কি করা যায়। কিন্তু করার কোনো কাজ পেতেন না। মায়ের কাজে সাহায্য করতে গেলে মা তাড়িয়ে দিতেন। বাজারও করতে যেতে পারতেন না। মা ছেলেকে বাজারে পাঠাতেন। একদিন বাবা আবিষ্কার করলেন যে তার ছোট টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কি যেন করে আর সারা রাত জেগে কি যেন পড়ে। কয়েক দিন পর তিনি বুঝলেন, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ছোট ছেলে কমিকস কিনে পড়ে। বাবাও কমিকস পড়া শুরু করলেন। তার ছেলে যখন বাসায় থাকতো না তখন সে কমিকস বই চুরি করে পড়তো। আস্তে আস্তে তার বাবাও কমিকসের বিরাট ফ্যান হয়ে উঠলো। এর মধ্যে ৪ বছর কেটে গেল।
একদিন...
বাবা : ছোটন এখই চলো। ওই পাড়ার কালু বিপদে পড়েছে।
ছেলে : বাবা আমরা গাড়ীতে, সিটবেল্ট বাধো।
বাবা : সুপারম্যানদের সিটবেল্ট লাগে না।
ছেলে : সুপারম্যানদের গাড়ীতেও চড়া লাগে না।
ধুমধুম! উউ...! উঠ বলছি...
উফ বাবা। কী সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলাম। দিলেই তো শেষ করে।
পড়তে বস বলছি। নইলে কিন্তু......