ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পাখি চিনি

লম্বা পায়ের হট্টিটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
লম্বা পায়ের হট্টিটি

লম্বা পাওয়ালা সুন্দর এ পাখিটির নাম লাল লতিকা হট্টিটি। তবে হট্টিটি নামেই আমাদের কাছে বেশি পরিচিত।

ইংরেজি নাম Redwattled Lapwing। বৈজ্ঞানিক নাম vanellus। এদের বলা হয় মাঠের পাখি। বাসা করার ক্ষেত্রেও খোলা মাঠ এদের প্রথম পছন্দ।

লাল লতিকা হট্টিটির চোখের সামনে উঁচু মাংসল অংশটি টকটকে লাল। লতিকাটির লাল রং দু’দিকে এগিয়ে চোখের চারপাশে একটি বৃত্ত এঁকেছে।
এদের গলা, বুক, মাথার তালু ও ঠোঁটের আগা কালো। ডানা বোজানো অবস্থায় পিঠ ও লেজের উপরিভাগ চকচকে বাদামি, তাতে জলপাই রঙের আভা। ঠোঁট লাল। লম্বা পা দু’টি হলুদ।  

এরা বাসা তৈরি করতে সময় নেয় ৬-১০ দিন। গতানুগতিক পাখির বাসার মতো বাসা এরা বানায় না। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ঢিল, শামুক, নুড়ি ইত্যাদি দিয়ে সাজায় বাসা। বাড়ির ছাদও এদের বেশ পছন্দ বাসা তৈরির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশের সাভার অঞ্চলে এখনও হট্টিটি পাখি বেশি দেখা যায়।  
ডিম পাড়ে দুই দিনে চারটি। তা দেয় ২৩ দিন। এরপর বাচ্চা ফুটতে শুরু করে। ডিমের রং মেটে সবুজ। বাচ্চারা ৩০ দিনে উড়তে শেখে। ফাল্গুন থেকে জৈষ্ঠ্য মাস ডিম পাড়ার সময়। তবে কোনো কারণে ডিম নষ্ট হলে এরা আবার ডিম দেয়।

এরা মূলত পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, শস্যবীজ, কচি ঘাস, কেঁচো খায়। বাচ্চাদের জন্য বুকের পালকে পানি ভিজিয়ে আনলে সেখান থেকে চুষে খায়।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের পাখি, শরীফ খান

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।