‘রাজু স্কুলে যেতে পারলে আমি পারবোনা কেন? কেনই বা আমাকে এত বেশি ঘরের কাজ করতে হবে? এরপরেও খাওয়ার বেলায় রাজুর ভাগে বেশি, আমার কম কেন?’
এই প্রশ্নগুলো করার সাহস দেখিয়ে এবং আমাদের ঘরে-বাইরের খুব সাধারণ অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অসঙ্গতি ধরিয়ে দিয়ে মীনা জয় করে নিয়েছে তোমার-আমার মতো দক্ষিণ এশিয়ার অসংখ্য শিশুর মন। হয়ে গেছে আমাদের প্রিয় বন্ধু।
আমাদের বন্ধু মীনার দিন আজ। মীনা দিবস। শিশুদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো মীনার জন্য আলাদা করে বেছে দিয়েছে এই দিনটিকে। তোমরা যারা মীনাকে ভালোবাসো, তারা মীনার মতই ভাবতে আর সবার জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হও - এটাই মীনা দিবসের উদ্দেশ্য ।
মীনা দিবসে তোমাদের ছোট্ট দুটি তথ্য জানিয়ে দিই। মীনাকে মীনার মতো করে এঁকেছিলেন ভারতের বিখ্যাত কার্টুনিস্ট রাম মোহন। কার্টুনের ক্ষেত্রে ভারতে তাঁকে জীবন্ত কিংবদন্তী মনে করা হয়।
আরেকটি তথ্য হল, মীনার বন্ধুর তালিকায় এখন যোগ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের বাইরেও লাওসের শিশুরা। আর মীনার বন্ধু মানেই তো আমাদের বন্ধু, তাই না?
ভালো কথা, মীনার সবশেষ কার্টুনটি কী নিয়ে জানো?
সুনামি আর ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিশুরা ঠিক কী করতে পারে, এই কার্টুনে শিগগিরই আমরা সেটাই দেখবো। আমার তো আর তর সইছে না। তোমারও, তাই না?
বাংলানিউজের পক্ষ থেকে তোমাদের সবাইকে মীনা দিবসের শুভেচ্ছা।