ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নারী চিকিৎসককে গাড়িতে নির্যাতন: একজন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
নারী চিকিৎসককে গাড়িতে নির্যাতন: একজন রিমান্ডে

ঢাকা: রাতে রাজধানীর রাস্তা থেকে শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসককে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগে রাব্বি হাসান খান নামে একজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ রিমান্ডের এ আদেশ দেন৷ 

এছাড়া নাজমুল হাসান নামের অপর আসামিকে রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এদিন দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আনিছুর রহমান। আসামিপক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রাব্বির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আর নাজমুলের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে লালবাগ বেড়িবাঁধ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে নিজেকে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক দাবি করে তাকে নির্যাতনের বর্ণনা দিতে দেখা গেছে।

ওই নারীর দাবি, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে কর্মস্থল থেকে লালবাগের বাসায় ফেরার পথে পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে তার গাল, কপাল, গলা ও বাঁ হাতের বাহুতে জখম করেন।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রিকশায় নিজের লালবাগের বাসায় ফিরছিলাম। সঙ্গে আমার ছোট ভাইও ছিল। এ সময় একটি প্রাইভেটকার এসে রিকশার গতি রোধ করা হয়। প্রাইভেটকার থেকে নাজমুল ও আকাশ বের হয়ে আমাকে রিকশা থেকে টেনে নামায়। তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন হাসান ও মশিউর নামে আরও ব্যক্তি। তারা আমাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলেন। এ সময় আমার ছোট ভাই বাধা দিলে এলে তাকে রিকশা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয় তারা। তখন সে চিৎকার করলেও আশপাশে কেউ ছিল না।

ওই নারী বলেন, মশিউর গাড়ি চালাচ্ছিলেন, রাস্তাও অন্ধকার ছিল। একপর্যায়ে তারা মারধর ও শ্লীলতাহানি করে আমার। একপর্যায়ে আমি গাড়ির দরজা খুলতে সক্ষম হই এবং পড়ে যাই। এ সময় লালবাগ থানার পাশের রিকশার গ্যারেজ থেকে লোকজন ছুটে এসে আমাকে টেনে তোলেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই।

এ ঘটনায় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে ৪ আসামি নাজমুল, হাসান, আকাশ ও মশিউরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। মামলা দায়েরের পর বুধবার (১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।