ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইউনূসের ২ প্রতিষ্ঠানের ১৩ মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
ইউনূসের ২ প্রতিষ্ঠানের ১৩ মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ

ঢাকা: নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ১২’শ কোটি টাকা আয়কর দাবির বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী।

এর আগে সোমবার মামলাগুলো শুনানিতে অপরাগতা জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। তার পরদিন নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি।

আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী জানান বলেন, মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এখন মামলাগুলো কার্যতালিকায় আসলে আদালত শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থ বছরে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ১২’শ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ দাবি চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে হাইকোর্টে পাঁচটি রিট এবং ৮টি ইনকাম ট্র্যাক্স রেফারেন্স মামলা করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ মামলাগুলো করা হয়।

চলতি বছরের ৯ মে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ এসব মামলার শুনানি নিতে অপারগতা প্রকাশ করে মামলাগুলো কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তখন রাষ্ট্রপক্ষ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে নিয়ে যায়। ৫ জুন এই বেঞ্চে শুনানির সময় আদালত মামলাগুলো শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কারণে অনেক রাজস্ব আটকে আছে। এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে আয়কর ও শুল্ক সংক্রান্ত মামলাগুলোর ওপর হাইকোর্ট বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ১২’শ কোটি টাকার উপরে আয়কর আটকে আছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

প্রতিষ্ঠান দুটির আইনজীবী শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এক সময় এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তাই এই বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি ঠিক হবে কিনা। এ প্রশ্নে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি পরে বলেন, শুনানি করতে কোনো সমস্যা নেই। যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে তাই মামলাগুলো নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

এরপর মঙ্গলবার নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।