ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুমিল্লার কাউন্সিলর সোহেল হত্যার আসামির জামিন স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
কুমিল্লার কাউন্সিলর সোহেল হত্যার আসামির জামিন স্থগিত

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ হত্যা মামলার আসামি আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, হাইকোর্ট বিভাগ গত ১৯ অক্টোবর মো. আলমকে জামিন দিয়েছিলেন। পরে তার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত মো. আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন।

২০২১ সালের ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেলসহ দু’জন। সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন।

২০১২ ও ২০১৭ সালে সোহেল কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র হন। তিনি সুজানগর এলাকার সৈয়দ মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

আর নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পরদিন ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় শহরের সুজানগর বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহারনামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সুজানগর পানির টাংকি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন, সুজানগর পূর্বপাড়া বৌ বাজারের মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশ এলাকার (রহিম ডাক্তারের গলি) কাকন মিয়া ওরফে চোরা কাকনের ছেলে সাজন, তেলীকোনা প্রাইমারি স্কুলের পূর্ব পাশের (মনির মিয়ার বাড়ি) আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, সুজানগর পূর্বপাড়া বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে আলম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশ (বেকারি গলি) এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে সায়মন উদ্দিন ও সুজানগর বৌ বাজার এলাকার কানাই মিয়ার ছেলে রনি।

অবশ্য প্রধান আসামি শাহ আলম, আসামি সাব্বির ও সাজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করে। এসব সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
ইএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।