ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ব্যারিস্টার কাজলসহ আইনজীবীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
ব্যারিস্টার কাজলসহ আইনজীবীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা: নির্বাচনের সময় মারামারির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক, বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ গ্রেপ্তারকৃত আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা।  

সোমবার (১৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে আইনজীবী সমিতি ভবনের মূল ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ, ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম, অ্যাডভোকেট মামুন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট কাজী আখতার হোসেন, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান।

এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ আল হাদী, রবিউল আহমেদ, জাকির খান কাকন, আল রেজা মো. আমির, আসিফ ইমরান জিসান, মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল, শিমন ওয়াহেদ, কামরুল হাসান রিগ্যানসহ শতাধিক আইনজীবী।

বক্তারা বলেন, যে ঘটনায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে এটা প্রমাণিত যে, ঘটনার সঙ্গে তার দূরতম সম্পর্কও ছিল না। বিনা অপরাধে শুধু গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং চারদিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে হাতকড়াও পরানো হয়েছে, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থি। আইনজীবী হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।

গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  

পরদিন শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।  

শুনানি শেষে বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে গত ১৪ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।  

গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।  

এ ঘটনায় পরদিন ৮ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।  

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।