ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টিকটকার প্রিন্স মামুনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
টিকটকার প্রিন্স মামুনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন

ঢাকা: বান্ধবী লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে করে রিমান্ড আবেদন করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

আজই রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।
রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন লায়লা।

মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। মামুন আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

পরে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে মামুন আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝে মধ্যেই আমার বাসায় এসে থাকতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করেন। পরে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।