ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বানারীপাড়ায় আ. লীগের ৩৯৬ নেতাকর্মীর নামে ৫ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
বানারীপাড়ায় আ. লীগের ৩৯৬ নেতাকর্মীর নামে ৫ মামলা

বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩৯৬ নেতাকর্মীর নামে একটি আদালতের পাঁচটি নালিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের চার নেতা রোববার ও সোমবার (১ ও ২ সেপ্টেম্বর) বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগগুলো দাখিল করেন।

 

এতে হামলা, বসতবাড়ি ভাঙচুর, চাঁদা দাবি, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে চারটি ঘটনার মধ্যে সিআইডিকে দুটি ও ডিবি পুলিশকে দুটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অপর একটি বানারীপাড়া থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নিদের্শ দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রেজাউল ইসলাম।

আদালত ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৫টি মামলায় নামধারি ৬৮জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।  

মামলার মধ্যে একটিতে চলতি বছরের মে মাসের ২৩ তারিখ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা ও তার প্রবাসী ভাই রাহাত আহমেদ ননীসহ ১৮ নামধারী জন ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। যা না দেওয়ায় বাদীর অফিস ভাঙচুর এবং বাদীকে কুপিয়ে জখম করার পাশাপাশি প্রায় ২০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগও আনা হয় মামলায়। আর এ মামলার বাদী বিএনপির নেতা মো. মাহাবুব রাহমান ওরফে সুমন মৃর্ধা।

এছাড়া পৌর বিএনপির নেতা মো. মেহেদি হাসান মিদুল বাদী হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক মিন্টু, নুরুল হুদা তালুকদারসহ ১৯ জন নামধারী ও দেড়শত জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে তিনিসহ মামলার সাক্ষীদের ওপর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টায় বানারীপাড়ার রায়ের হাট পুল এলাকায় হামলার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এছাড়া মো. মেহেদি হাসান মিদুলের দায়ের করা অপর মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক মিন্টু, নুরুল হুদা তালুকদারসহ ১৩ জন নামধারী ও দেড়শত জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। যে মামলায় বাদী ও তার ছোট ভাই সিফাত হোসেন নিলয়কে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর উপজেলার ডাকবাংলোর সামনে তেলে তুলে নিয়ে মারধর করে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া এবং আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অপরদিকে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাইফুল বাদী হয়ে নামধারী ১২ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও না দেওয়ায় ২৬ আগস্ট হামলা, লুটপাটের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া বিশার কান্দির মরিচবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা ও চৌমোহনা বাজার কমিটির সভাপতি মো. ইউনুস সিকদার বাদী হয়ে নামধারী ৬ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৬ আগস্ট মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর, ০২, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।