নড়াইল: নড়াইলে সাহেব আলী ফকির হত্যা মামলায় আপন দুই ভাই খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি খলিল ফকির ও মারুফ ফকির জেলার কালিয়া থানার হামিদপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত শাহাদত ফকির ওরফে শাহা ফকিরের ছেলে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তারিকুজ্জামান লিটু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর সকালে বাদীর ভাগ্নে সাহেব আলী ফকির ও রবিউলকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সংবাদ পেয়ে বাদী তার ভাগনের বাড়ি কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামে উপস্থিত হন এবং মাথায় ও কোমরে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাগ্নে সাহেব আলী ফকিরকে বাড়ির উঠানে ও ভাগ্নে রবিউলকে বাড়ির পূর্ব পাশের আঙিনায় পড়ে থাকতে দেখেন। বাদী তার ভগ্নিপতি ইমরান ফকির এবং তার বোন শাহিদা বেগম ও ভাগনি জনিদের কাছে জানতে পারেন, তার ভগ্নিপতি ইমরান ফকিরের সঙ্গে তার বড় ভাইয়ের বাড়ির জমিজমা নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে খলিল ফকির, মারুফ ফকিরসহ আসামিরা তার দুই ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সাহেব আলী হাসপাতালে গিয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাহেব আলী ফকিরের মামা বিশ্বাস আজিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই কালিয়া থানায় ১৩জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিচারিক আদালত ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরের বিরুদ্ধে আনীত সাহেব আলী ফকির হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অন্য আসামি ইকতার ফকির, আফজাল ফকির, করিম ফকির, জমির ফকির, উজির ফকির, আমানত ফকির, আজম ফকির, কেরামত ফকির, জেবারত ফকির, কবির ফকির ও নবীর ফকিরদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
আরএ