নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদীর দখলদার ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নরসিংদী জেলার জেলা প্রশাসক এবং নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে বেলা’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না । রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।
রুলে নরসিংদী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হাড়িদোয়া নদী দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও সিএস, আরএস ম্যাপ ও মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ; সব দখলদার ও ক্ষতিকর স্থাপনা উচ্ছেদ; দূষণের উৎস চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের এবং নদীটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা ও সে মোতাবেক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীটি পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও রক্ষা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
রুলের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে হাড়িদোয়া নদীর দখলদার ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নরসিংদী জেলার জেলা প্রশাসক এবং নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে সংশ্লিষ্ট সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নদী তীরবর্তী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দূষণ প্রতিরোধকারী যন্ত্র এবং বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র প্রতিস্থাপন ও কার্যকারিতা সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে নিয়মিত হাড়িদোয়া নদীর পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের আদেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলেও বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইএস/এমজেএফ