ধানমণ্ডি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা মুক্তা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭২১ টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
ক্রোক হওয়া সম্পদের মধ্যে ধানমণ্ডি ও কেরানীগঞ্জে চারটি ফ্ল্যাট, গুলশানে ছয়তলা ভবন, বাড্ডায় একটি প্লট ও ১৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। ক্রোক হওয়া সম্পদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিরা হলেন— রওশন আরা বেগম, তানিয়া আক্তার ও মো. ইমদাদুল হক।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. ইকরাম আলী মিয়া এবং তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা মুক্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যামে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু যাচাই/অনুসন্ধানের স্বার্থে অবিলম্বে তার নিজের এবং তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা মুক্তা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এসব স্থাবর সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন।
সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
কেআই/এমজে