ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের আদেশ বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৮, আগস্ট ৬, ২০২৫
রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের আদেশ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশ পিছিয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আদেশের দিন একদিন পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রেখেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে রিভিউ আবেদনের ওপর গত ৩০ জুলাই শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশের জন্য ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছিলেন।

আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন এবং রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।

 এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।

১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয় হাইকোর্ট।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে ৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে জেলা জজদের ষোল ক্রমে সচিবদের সমমর্যাদা এবং সতের ক্রমে অতিরিক্ত জেলা জজদের রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাকি আটটি পদে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক সরকার পদক্রম পরিবর্তন করবেন বলে আপিল বিভাগ আশা প্রকাশ করেছেন।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন।  

ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।