সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পিছিয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি দীর্ঘ র্যাবের কাছে তদন্তের দায়িত্ব ছিল। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বর্তমানে টাস্কফোর্সের তত্ত্বাবধানে পিবিআই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ অবস্থায় তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় বিচারক নতুন করে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২০ বারের মতো পেছালো।
এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র জামিনে আছেন। বাকিরা এখনও কারাগারে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
কেআই/এএটি