ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে নতুন আইন হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে নতুন আইন হচ্ছে

ঢাকা: বিচারকার্য শেষ হয়ে যাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি জানিয়েছেন, অপরদিকে এখনও যাদের বিচার শেষ হয়নি তাদের সম্পত্তির বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনেও আনা হতে পারে সংশোধন। অতি দ্রুতই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ সময়ের এই ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরও নানান বিষয়ে কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি ধাপে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এখন সম্পত্তির বিষয়ে দাবি উঠেছে। জনগণের যে দাবি, সেই দাবি সম্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সে ব্যবস্থা নেবো। ইতিহাস দেখেছে, যারা মানবতাবিরোধী এই সরকার তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মাধ্যমে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য শোনার ও বলার সুযোগ দিয়ে বিচার সমাপ্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা নিয়মে শেষ হয়েছে।
 
জনগণের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন মানুষের যে দাবি, সেক্ষেত্রে আমি স্মরণ করি শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অর্থাৎ বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে। তাদের নিরলস চেষ্টায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়েছিল। আর আজকে বিচার সমাপ্ত হচ্ছে।
 
আনিসুল হক বলেন, এদের (যুদ্ধাপরাধী) সম্পত্তির ব্যাপারে জনগণের দাবি উঠেছে। আর আমরা জনগণের সরকার। শেখ হাসিনা সবসময় বলে এসেছেন তার একটাই উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে বসানো এবং বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি। সেক্ষেত্রে জনগণের দাবি অনুযায়ী, এই যুদ্ধাপরাধী যারা দণ্ডিত তাদের সম্পত্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি হবে নাকি দেরিতে হবে আমি তা বলবো না। আইন করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। যাদের বিচার হয়ে গেছে, তাদের সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা আদালত (ট্রাইব্যুনাল) নিতে পারবেন না। সম্পত্তির ব্যবস্থা করতে হলে নতুন করে আইন করতে হবে। আর যারা বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তাদের বিষয়টি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করে করতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‌‘‘যদের বিচার কার্যকর হলো তারা এখন মৃত। তাদের সম্পত্তি মুসলিম আইন অনুযায়ী ওয়ারিশদের কাছে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে সম্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন করলেও তাদের সম্পত্তি ফেরত আনতে পারবো না। ফলে নতুন আইন করতেই হবে,’’ বলেন তিনি।

***‘দুই মন্ত্রীর পদ হারানোর কোনো কারণ নেই’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬/আপডেট ১৫৩০, ১৭১৬
এসএমএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।