ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ করার প্রস্তাব

ইলিয়াস সরকার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ করার প্রস্তাব

ঢাকা: অভিজ্ঞ বিচারক সংকটের কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৭৫ করার প্রস্তাব করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এ প্রস্তাব রাখেন।

রায়ে তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু অভিজ্ঞ বিচারকের সংকট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছ, সেহেতু আমি মনে করি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ বৎসরে উন্নীত করা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই লক্ষ্যে আমি মহান জাতীয় সংসদের নিকট সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছদের (১) উপ-ধারা সংশোধনপূর্বক বিচারকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬৭ এর স্থলে ৭৫ করার প্রস্তাব করছি।

এর আগে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আইন কমিশন এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলো। যাতে বলা হয়েছিলো- বিচারপতি পদে নিয়োগে কমপক্ষে ৫০ বছর বয়স এবং অবসর গ্রহণের বয়স ৭৫ বছর নির্ধারণ করলে অভিজ্ঞ বিচারক দক্ষতার সঙ্গে অধিক সময় বিচারিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। তবে এই বিধান কেবল নত‍ুন নিয়োগ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে হবে।

সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে বর্তমানে বিচারপতিদের বয়সসীমা সাতষট্টি বৎসর।

এর আগে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর সংবিধানের সপ্তম সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হয়।

সর্বশেষ ২০০৪ সালের ১৬ মে চতুর্দশ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়সীমা ৬৫ থেকে ৬৭ করা হয়।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

গত ৫ মে  বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এতে অপর বিচারক বিচারপতি আশরাফুল কামাল ভিন্নমত পোষণ করেন।

১১ আগস্ট ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দুই বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার অবৈধ রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় প্রকাশ পায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
ইএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।