বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দিচ্ছেন তিনি।
এর আগে সাতদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাঈমকে সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।
গত ১৮ মে নাঈমকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে মামলার গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনেরই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। অপর মূল আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ গত ১৮ মে এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন গত ২০ মে রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামি সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি জবানবন্দি দেননি।
গত ২৮ মার্চ ধর্ষণের ঘটনায় গত ০৬ মে এক তরুণী বনানী থানায় মামলা করেন। ১১ মে সিলেট থেকে প্রধান সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে পুলিশ এবং ১৫ মে রাতে রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনকে রাজধানীর নবাবপুর রোড থেকে গ্রেফতার করে ৠাব।
বনানীর বিলাসবহুল রেইন-ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি হয়। মাসখানেক আগের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচজনকেই আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীর বন্ধু। জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ আনা হয়।
গত ১১ মে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুননাহার ইয়াসমিনের আদালতে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমআই/এএসআর