ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আশুলিয়ার ওসিকে ৩ পুলিশসহ ফের আসতে হবে ৫ জুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
আশুলিয়ার ওসিকে ৩ পুলিশসহ ফের আসতে হবে ৫ জুন

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত এক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানোর ব্যাখ্যা দিতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহসিন আল কাদিরকে (ওসি) আবারও আসতে হবে আগামী ০৫ জুন। ওইদিন হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী ৩ পুলিশ সদস্যসহ তাকে ফের তলব করেছেন হাইকোর্ট।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলনকারী ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।

গত সোমবার (২৯ মে) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওসিকে তলব করেন।

বুধবার (৩১ মে) হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

বুধবার ওসি মোহসিন আল কাদির হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানান, ওইদিন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন তার থানার একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল। পরে ৫ জুন ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ ফের এসে ব্যাখ্যা দিতে বলেন আদালত।

গত শুক্রবার (২৬ মে) ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হন ৪২ শিক্ষার্থী। আহত হন অনেকে। পরে অবশ্য ৪২ শিক্ষার্থীর জামিনও হয়।

এদিকে আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সোমবার একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সঙ্গে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি’।

অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাতকড়া পরানো পুলিশ রেগুলেশন, বেঙ্গল এর ৩৩০ (এ) বিধানের লঙ্ঘন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
পরে রেজাউল করিম বলেন, প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তলব করেছেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন। রুলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন। রুলের বিবাদীরা হলেন- স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।