শুনানি শেষে মঙ্গলবার (০৬ জুন) আবেদনগুলো খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চ এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনগুলো দেরিতে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে নাকচ করে দেন।
পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
ওইদিন শুনানি শেষে যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে জানিয়ে রায় (সিএভি) ঘোষণা অপেক্ষমান রেখেছেন হাইকোর্ট।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বাংলাদেশ রাইফেলস- বিডিআর (বিজিবি) সদর দফতরে সংঘটিত ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫১ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে এবং খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা। পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড ও কয়েকজনের সাজা বাড়াতে আরও দু’টি আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ।
দ্রুত আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় ৩৭ হাজার পৃষ্ঠা করে মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত ২ কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
২০১৫ সালের ০৪ জানুয়ারি সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে গত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৭০ কার্যদিবস শুনানি হয় বেঞ্চটিতে।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, এএসএম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা, শামীম সরদার প্রমুখ শুনানি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর