ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদুর রহমানের দ্রুত বিচার আদালত সোমবার (১৯ জুন) এ চার্জ গঠন করেন।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, চার্জ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হলো।
গ্রেফতারের পর গত ০৬ এপ্রিল এএসআই আলমগীরের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন অন্য আসামি সাবেক সেনা সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৪৩) ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে এ আসামিরা এর আগেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০) এ মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন যে, তিনি রাজধানীর লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ০৪ এপ্রিল দুপুর ৩টার দিকে তিনি উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাড়িয়েছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে থামে। গাড়িটি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নেন। এক পর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধেন।
এরপর তারা বাদীর কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮শ’ ইউএস ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ চার হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করলেও অন্য ৪ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই ঘটনায় জড়িত পালিয়ে যাওয়া এএসআই আলমগীর হোসেন, হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের নাম জানান। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে পরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেফতার করে।
আসামি আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সাবেক সেনা সদস্য মাসুম বিল্লাহ’র বাড়ি ঢাকার দোহার উপজেলার উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
এমআই/এএসআর