রোববার (০২ জুলাই) নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী জজদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রশাসন ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এটি বিচারকদের শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব রাখবে। অত্যন্ত খুঁটি নাটি বিষয়গুলো দেখে এটা করা উচিত। এটির মধ্যে এমন কিছু না থাকে, যেন পরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি অত্যন্ত সুক্ষভাবে দেখা হচ্ছে। আমি আশা করি, এ মাসের ১৫ তারিখের আগেই গেজেট হয়ে যাবে’।
১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো।
আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট খসড়া বিধিমালা সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।
গত বছরের ০৮ ডিসেম্বরেও নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর হাজির করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর মধ্যে ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি।
পরে অবশ্য দুই সচিব আদালতে হাজির হওয়ার পর গেজেট প্রকাশে সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশে আরও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এর মধ্যে গত ১৫ মে ও ২৯ মে আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন।
**এটিই লাস্ট চান্স: প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
ইএস/এএসআর