মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী রফিউল আলম দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের দু’টি ধারায় এ সাজা দেন।
এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী আসাদুজ্জামান রানা জানান, আসামিকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ২ বছর ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও তাকে ওই দু’টি ধারায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৯ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মেজর ইমরানের নেতৃত্বে ৠাব-৩ এর সহযোগিতায় দুদকের একটি বিশেষ টিম কর কমিশনার আশিকুর রহমানকে নিজ কার্যালয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করে।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক ফজলুল হক রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১০৪ নম্বর সার্কেলের উপ-কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার কথা বলে জনৈক ব্যবসায়ী শেখ মিজানুর রহমানের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন কাজী আশিকুর রহমান।
২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। পরে আরও ৫০ হাজার টাকার দাবি করলে উক্ত ব্যবসায়ী দুদককে জানান। এরপর ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার সময় এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এমআই/জেডএস