ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাল্টি ফ্যাবসের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা চেয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
মাল্টি ফ্যাবসের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা চেয়ে রিট

ঢাকা: গাজীপুরের কাশিমপুরে মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেডে বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহতের ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইর করার নির্দেশনা এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি বয়লার আইনের বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।  

রোববার (০৯ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান মিলন।

সোমবার (১০ জুলাই) বিচারপতি জুবায়ের রহমান ও বিচারপতি মো.ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।

মিলন জানান, বয়লার নিয়ে ১৯২৩ সালের একটি আইন ছিলো। এ আইনে বয়লারের ব্যবহার নিয়ে একটি বিধিমালা প্রণয়নের কথা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনো করা হয়নি। তাই এটি প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বয়লার নিয়ে আইনের বিধান অনুসরণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না  তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শ্রম সচিব, শিল্প সচিব, বিজিএমইএর সভাপতি, প্রধান বয়লার পরিদর্শকসহ ১৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ৫ জুলাই ওই কারখানার মালিক, মহাব্যবস্থাপক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করে গ্রেফতার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।  

ওই নোটিশে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড নামের কারখানায় ডাইং সেকশনে বয়লার বিস্ফোরণে অপারেটর সালাম, এরশাদ এবং মন্সুর হকসহ ১৩ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ  আহত হন। এ ঘটনায় কারখানার মালিক অপরাধ ডাকা দেওয়ার জন্য  সালাম, এরশাদ এবং মন্সুর হকসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে চক্রবর্তী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রশিদকে বাদী করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন।

‘নিহত সালামের ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবা ওই ফ্যাক্টরীতে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে কাজ করছেন। কারখানার বয়লার ছিলো পুরাতন ও ফিটনেস বিহীন। মালিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ঘটনার দিন তার বাবার ডিউটি না থাকলেও ম্যানেজার টেলিফোনে বাবাকে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। ’

‘কারখানার মালিক ও কর্তাব্যক্তিরা এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। ’

নোটিশে আরও বলা হয়, ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই মামলা করার অর্থ হলো অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করা। ’

‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কারাখানার মালিক/জিএম/ম্যানেজারকে আসামি করে এই নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা দায়ের করে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে এবং নিহতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জয়দেবপুর থানার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করতে বাধ্য হবো’ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
ইএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।