বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আরমানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।
তবে আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ।
শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ওই তরুণী।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে চাকরিচ্যুত শব্দ প্রকৌশলী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেয়েটির বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন মেয়েটি।
চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নুর জাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। এ সুযোগে ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সে সময়কার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে প্রথম ধর্ষণ করেন আরমান।
এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর বেশকিছু ছবিও মোবাইলে তুলে রাখেন তিনি। এরপর থেকে এসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটি ধর্ষণ করে আসছিলেন।
এক পর্যায়ে ২০১৫ সালে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন আরমানই তার অবৈধ গর্ভপাত ঘটান বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
মামলার এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গর্ভপাতের পরও মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালান আরমান। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইস্কাটন রোডের খালার বাসায় চলে যান তিনি। এরপরও বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন আরমান।
কিন্তু রাজি না হলে এক পর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ মেয়েটির বন্ধুর কাছে ফেসবুকে পাঠিয়ে দেন তিনি। এছাড়া নোংরা ভাষায় আরমান বিভিন্ন মেসেজও মেসেঞ্জারে পাঠাতেন ওই তরুণীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭/আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা
এমআই/এমএ/এএসআর