বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া মামলায় আবুল খায়ের ঢাকায় গ্রেফতার হন।
কিন্তু ঢাকায় মামলার কোনো নথি না থানায় খণ্ড নথির মাধ্যমে মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে খণ্ড নথি ওমূল মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে চট্টগ্রামে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে আবুল খায়ের ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের পরিচালক জায়েদ হোসেনের তত্ত্বাবধায়নে উপ-সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গুলশানের নিজবাসা থেকে আবুল খায়ের গ্রেফতার করা হয়।
আবুল খায়ের দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন বলেও জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডি আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে আলাদা দু’টি মামলা করে দুদক। ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের দুই মামলাতেই তিনি আসামি।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১২ সালে হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ২০১৬ সালের জুনে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের কাজের মোট খরচ দেখানো হয় ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার।
কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি মাসে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দল দিয়ে পুনরায় পরিমাপ করে দেখা হয়। নতুন পরিমাপে সেখানে মোট ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৮ মার্কিন ডলারের কাজ পাওয়া গেছে।
অর্থাৎ, কম কাজ করে বেশি কাজ দেখিয়ে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলার বা ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬২২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পদ্মা অয়েলের তৎকালীন এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বাকি দুই আসামি হচ্ছেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাহিম জামান পাঠান ও প্রকল্পের পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন।
পদ্মা অয়েলের খুলনার দৌলতপুরে তেলের ডিপোতে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। ওই ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৮২ টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২১ টাকা। অর্থাৎ মোট ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিল তৈরি ও অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পদ্মা অয়েলের এমডি আবুল খায়ের ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. ইউনূস অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. আনিছুর রহমান, পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা কে এম আবদুর রহিম, সালেকী আহমেদ আইনুল আক্কাসী ও মো. নুরুল আমীনকে।
আরও পড়ুন>>
** পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডি আবুল খায়ের আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমআই/এমএ