ওই কলেজের সাবেক সভাপতির করা রিট আবেদনের শুনানি রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে ওই সংসদ সদস্যের (কুষ্টিয়া-৪) সভাপতি পদে থাকা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ওই কলেজের অধ্যক্ষ, সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ওই কলেজের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ বারী।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। পরে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ ওই কলেজের সভাপতি পদে থাকার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘ইচ্ছা পোষণ করে আইন প্রণেতাদের (সংসদ সদস্যরা) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হওয়ার বিধানটিকে ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ ঘোষণা করে ২০১৬ সালে ১২ জুন রায় দেন আপিল বিভাগ। এ কারণে সংসদ সদস্যরা যেসব স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে আছেন ওই রায়ের পর তারা আর সেই দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। এ কারণে রিট করা হয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
ইএস/জেডএস