রোববার (৮ অক্টোবর) তিনি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু সালেহ’র আদালতে হাজির হয়ে এ সাক্ষ্য দেন।
ইমরান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
অন্যদের সাথে ইমরানও আসামি হিসাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। চার্জশিট প্রদানের সময় তার নাম আসামি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সাক্ষীর তালিকায় নেয়া হয়।
২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে।
২০১৫ সালের ২১ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। চার্জশিটে রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটের সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২১টি তাজা গুলি, গুলি রাখার চার্জার, একটি রক্তমাখা গুলির অংশ বিশেষ, ভিকটিম আ. হাকিম ও ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত দু’টি লুঙ্গিসহ মোট ১৫টি আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে গাড়ির ড্রাইভার ইমরান ফকির ও তিন বন্ধুসহ ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদ পান করে। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা বার থেকে বাসায় ফেরার পথ ধরেন। নিউ ইস্কাটন রোডে জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুলির শব্দে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যান।
এ সময় রনির ছোঁড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজি চালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
এমআই/জেডএম