ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খাগড়াছড়িতে ১৫ জেএমবির যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
খাগড়াছড়িতে ১৫ জেএমবির যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে সিরিজ বোমা হামলার দীর্ঘ ১৩ বছর পর বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে ১৫ জেএমবি সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এই মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭ আসামিকে বিস্ফোরক প্রস্তুত ও মজুদ রাখায় অপর একটি ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

** ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোনায়েদ হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেলাল মিয়া ছাড়া অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

এ মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আবুল কালাম নামে একজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
 
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাওয়াদের মধ্যে দিনাজপুরের কোতয়ালি থানার হাফেজ মো. শহিদুল্লাহর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম, বাগেরহাটের শরণখোলার মৃত. মোজাহার আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সুলতান মাহমুদের ছেলে মো. রুহুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত. নওশাদ আলীর ছেলে মো. করিম আলী, বাগেরহাটের শরণখোলার আব্দুল মজিদ জমাদ্দারের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মৃত লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জু মিয়া, খাগড়াছড়ির মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন সুফীকে আরও ১০ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- রংপুরের গঙ্গাচরা থানার নুরুল হকের ছেলে মো. এরশাদ, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার নুরুল আলম মোয়াজ্জেমের ছেলে মো. বেলাল মিয়া, বরিশালের কোতয়ালি থানার মো. শাহজাহানের ছেলে মো. হাসান আল মাহমুদ, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার মৃত ওসমান আলীর ছেলে মো. আসাদুজ্জামন।
 
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. এমদাদুল হক, একই এলাকার  হাছেন আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মাওলানা আব্দুল সামাদের ছেলে মো. এনায়েত উল্লাহ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার মৃত জহুরুল হকের ছেলে আবুজর ওরফে আইয়ুব আলী।

এই আট আসামিকে বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনের ৩ ও ৬ ধারার বিষ্ফোরণ ঘটানো, জানমালের ক্ষতি ও বিষ্ফোরণে সহায়তা করায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের এজলাসের সামনে, জজ আদালত এলাকায় এবং শাপলা চত্বরের মুক্তমঞ্চের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে তিনজন আহত হন।  

পরবর্তীতে এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
জিপি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।