ঢাকা, বুধবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কোম্পানি কেন অবসায়ন নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫৬, মে ১৫, ২০১৮
ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কোম্পানি কেন অবসায়ন নয় হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কোম্পানি অবসায়ন বা অবলুপ্তির বিষয়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে শো’কজ নোটিশ জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৫ মে) বিচারপতি এম আর হাসানের (মো. রেজাউল হাসান) একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওই কোম্পানির পরিচালক লে. জে. এম হারুন-অর-রশীদ ও ৫ শেয়ার হোল্ডারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান ও মাইনুল ইসলাম।

জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম বদরুদ্দোজা।

আদেশের পর বদরুদ্দোজা জানান, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড হওয়া কোম্পানিটি ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বর্ষগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা বিলম্বের মার্জনা চেয়ে ওই কোম্পানির পরিচালক লেজে এম হারুন-অর-রশীদ ও ৫ শেয়ার হোল্ডার হাইকোর্ট আবেদন করেন।  

হারুন-অর-রশীদ ছাড়া বাকি ৫ জন হলেন- কাজী মোহাম্মদ আশরাফুল হক, মো. সাইফুল আলম রতন, সিরাজুম মুনীর, মো. জাকির হোসেন ও বিপ্লব বিকাশ শীল।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্টার ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডকে।

একেএম বদরুদ্দোজা বলেন, আইন অনুসারে প্রতি ইংরেজি পঞ্জিকা বছরে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হয়। এতে ব্যর্থ হলে কোম্পানির যে কোনো সদস্যের আবেদনক্রমে আদালত উক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করতে অথবা আহ্বান করার নির্দেশ দিতে পারবেন। আদালত উক্ত সভা আহ্বান অনুষ্ঠান ও পরিচালনার জন্য যে রূপ সমীচীন বলে বিবেচনা করবেন সেইরূপ অনুবর্তী (consequential) ও আনুষঙ্গিক (incidental) আদেশ দিতে পারবে।

এ আইন অনুসারে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু যে ছয়জন আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ডেসটিনির সভাপতি ও সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশীদ শর্তসাপেক্ষে জামিন প্রাপ্ত। জামিনের শর্ত ছিল তদন্ত পর‌্যন্ত তিনি এ কোম্পানির কোনো কার‌্যক্রমের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখবেন না।  

আবেদনে তদন্ত শেষ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। ফলে তিনি আবেদন করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এছাড়া তাদের এজিএমের আবেদনে উল্লেখ আছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর‌্যন্ত কোম্পানির কোনো অডিট নেই। অডিট রিপোর্ট না থাকলে বার্ষিক সাধারণ সভা কীভাবে হবে?

তিনি আরও বলেন, আবেদনে তারা বলেছে দুদকের মামলায় সমস্ত সম্পদ জব্দ। সে সম্পদ তত্ত্বাবধানে তত্ত্বাবধায়কও নিয়োজিত আছেন। ফলে কার‌্যত কোম্পানি হিসেবে এর কোনো কর্মকাণ্ড নেই। এছাড়া সাত পরিচালকের মধ্যে ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কোম্পানির পরিচালক রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেন জেলে আছেন। চারজন পলাতক। এছাড়া তদন্ত চলাকালে অপর পরিচালক হারুন-অর-রশীদ এ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না এমন শর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। দুদকের কারণে ছয় বছর ধরে কোম্পানির কার‌্যক্রম প্রায় বন্ধ। এখন পরিচালক ছাড়া এজিএম হবে কীভাবে?    

এ কারণে আদালত এজিএমের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে কোম্পানিটি অবসায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতি শো’কজ নোটিশ জারি করেছেন বলে জানান এ কে এম বদরুদ্দোজা।

আদালত ৪ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।