ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড আকাশ ওরফে মিঠু। ছবি-বাংলানিউজ

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় তহমিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার স্বামী আকাশ ওরফে মিঠুকে (৩৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিঠু আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের কুঠিপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে।

 

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে সদর উপজেলার মোহাম্মদজুম্মা গ্রামে স্ত্রী তহমিনা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী মিঠু। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা সবেদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মিঠুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তহমিনাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পরিদন পুলিশ আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে মিঠুকে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সেই সময়ের উপ পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ মামলার তদন্ত শেষে মিঠুকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত এ মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ১১(ক) ধারায় এ রায় দেন বিচারক।  

রায়ের তাৎক্ষাণিক প্রতিক্রিয়ায় নিহতের মা জাহানার বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন মিঠু।  যৌতুক না পেয়ে বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মাথায় তাকে হত্যা করেন তিনি। আদালতের রায়ে জাহানারা খাতুন ও তার পরিবার খুশি বলেও জানান তিনি।  

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খান ও অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।